প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের জন্য কোন সুনিদির্ষ্ট অফিসিয়াল ড্রেসকোড নেই। তবে প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী এমন কিছুই পরিধান করতে পারেন না, যা একজন ভদ্রলোকের জন্য মানানসই নয়। অধুনা প্রযুক্তিভিত্তিক কোম্পানিগুলোতে ভাইভা বোর্ডে প্রার্থীর পোশাকে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যেখানে একজন কর্মকর্তাকে স্যুটেড ব্যুটেড হয়ে উপস্থিত থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। গতানুগতিক একজন কর্মীর কর্ম দক্ষতাটাই আসল। তবুও সারা বিশ্বে সরকারি চাকুরিজীবিদের কাপড় চোপড় পরিধান করার কিছু প্রচলিত নিয়ম আছে। নিচে তা আলোচনা করা হলো-
ছেলেদের জন্য:
- শীত-গ্রীষ্ম নিবির্শেষে ফর্মাল প্যান্টের সাথে ফুলহাতা শার্ট।
- প্যান্ট-শার্টের কালারের সাথে ম্যাচ করে এমন কালারের জুতা।
- শীতকালে ফুলহাতা শার্টের উপর মার্জিত কালার এবং ডিজাইনের ব্লেজার বা স্যুয়েটার পরতে পারেন।
- Closed Collar অর্থাৎ ‘টাই’ পরিধান করা এমন কোনো আহামরি স্মার্টনেস নয়। আগে থেকেই অভ্যস্ত থাকলে পড়তে পারেন না থাকলে দরকার নেই। হঠাৎ করে টাই পড়লে আপনি অসস্থিবোধ করতে পারেন। সারাক্ষণ ওটাতে আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে এই ব্যপারটাই মাথায় আসবে। পোশাকে স্বাচ্ছ্যন্দবোধ করা ভাইভা বোর্ডে আপনার জন্য এবং বোর্ড সদস্যদের জন্যও প্রীতিকর হবে।
- লাল-হলুদ বা ক্যাটক্যাটে বা চোখে অস্বস্তি লাগে এমন কালারের কাপড় পরিধান করা এড়িয়ে চলুন।
- সর্বজনীন ভালো লাগার মতো রংগুলো হচ্ছে কালো, সাদা, স্কাই-ব্লু, অফ-হোয়াইট।
- কড়া গন্ধের সেন্ট বা আতর ব্যবহার করে বোর্ডে যাবেন না।
ছেলেদের দাঁড়ি-গোফ ও চশমার ব্যাপারে দু-চার কথা:
জানামতে ধর্মীয় কারনে দাঁড়ি রাখায় ভাইভা বোর্ডে কোন সমস্যা হয় না। দাঁড়ি রাখলে প্যান্ট-শার্ট পড়তে পারেন আবার পাঞ্জাবি পায়জামা পড়তে পারেন। অতীতে এতে কোনো সমস্যা হয় নি। দিব্বি ভাইভা পাশ করে এখন অনেকেই চাকরি করছেন।
কোনো ফ্যাশনেবল দাঁড়ি-গোফ, চিপ নিয়ে ভাইভা বোর্ড মোকাবেলা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। চুল অত লম্বা না রাখাই ভালো। আবার মিলিটারী কাট দিয়েও ভাইভা বোর্ডে উপস্থিত হওয়ার দরকার নেই। বোর্ডে প্রবেশ করার কয়েক মিনিট আগে আপনার মাথার চুল একবার ঠিক করে নিন।
যারা দৃষ্টিশক্তির ত্রুটি বা অন্য কারনে চশমা পড়ে থাকেন তারা ভাইভা বোর্ডে চশমা পড়ে উপস্থিত হতে পারেন। সামান্য সমস্যা বা সৌখিন পড়ুয়াদের বোর্ডে চশমা পরে উপস্থিত হওয়ার দরকার নেই।
মেয়েদের পোশাক:
মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে মার্জিত বাঙালি মেয়েদের পোশাকই নির্বাচন করা বুদ্ধিমানের কাজ। এ ক্ষেত্রে মার্জিত রংয়ের সালোয়ার, কামিজ এবং জামা পড়লেই ভালো হয়। শাড়িতে অভ্যস্ত না থাকলে হঠাৎ করে শাড়ি পড়ে গেলে অস্বস্তি লাগতে পারে। বোরকা পড়ার অভ্যাস থাকলে কালো রংয়ের বোরকাই ধর্মীয় ভাব-গম্ভীর্য প্রকাশ করে। ভাইভা বোর্ডে যেহেতু আপনার পরিচিত নিশ্চিত করা হবে, তাই মুখে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা পরিচিতি নিশ্চয়নের পথে অন্তরায়। হিজাব পরায় অভ্যস্ত হলে ভাইভা বোর্ডে সমস্যার কিছু নেই। শুধু মার্জিত রংয়ের দিকে খেয়াল রাখবেন।
- ভাইভাতে যেসব বেসিক প্রশ্ন হয়ে থাকে এবং যেভাবে সেগুলো মোকাবেলা করতে হবে
- ভাইভাবোর্ডে অদ্ভুত/বিব্রতকর পরিস্থিতি যেভাবে মোকাবেলা করবেন
- ভাইভাবোর্ডে ভাষা নিবার্চনে সতর্কতা
- ভাইভার জন্য শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি যেভাবে নিবেন
জানা যাবে ‘দ্যা ক্যাডার’ বইটি থেকে……